মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে পর্যটন ও প্রবাসীদের জেলা মৌলভীবাজার। এ অবস্থায় সকল পর্যটন স্থানগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
এছাড়া সন্ধ্যা ৭ টার পর সকল দোকানপাট বন্ধ রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি হোটেল রিসোর্টের ৫০ শতাংশ বুকিং বাতিল করতে হবে এমন নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, ‘যেহেতু মৌলভীবাজার করোনা সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। এখানকার পর্যটন স্পটগুলোতে লোকসমাগম বেশি হয়। যে কারণে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আমরা সকল পর্যটন ও দর্শনীয় স্থানগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
আপাতত দুই সপ্তাহ এই নির্দেশনা বলবৎ থাকবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন- জেলাব্যাপী সবধরণের জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিয়ে, ওয়াজ, কীর্তন কিছুই করা যাবেনা। এতোদিন আমরা স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে প্রচারণা চালিয়ে আসছিলাম। বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) থেকে জেলাব্যাপী আরও গতি বৃদ্ধি করা হবে। সেই সাথে বন্ধ থাকবে সব পর্যটন স্পট।
এদিকে জেলা প্রশাসনের ফেসবুক পেজে পোস্ট দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে পরবর্তী ১৫ দিনের জন্য সকল সামাজিক, ধর্মীয়, রাজনৈতিক অনুষ্ঠান উপলক্ষে জনসমাগম নিষিদ্ধ এবং সন্ধ্যা ৭ টার পর শপিংমল, হাটবাজারসহ সকল ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে এ বিষয়ে মাইকিং করা হয়।
সারাদেশে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে করোনা সংক্রমণের হার ১৯ দশমিক ৯ শতাংশ। মৌলভীবাজারে হার ২২ দশমিক ২ শতাংশ। এই তথ্য নিশ্চিত করে মৌলভীবাজারের সিভিল সার্জন ডা. চৌধুরী জালাল উদ্দিন মোর্শেদ বলেন-সংক্রমণের দিক থেকে এক নম্বরে আছে মৌলভীবাজার। এই তথ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে আমাদেরকে জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন- বর্তমানে মৌলভীবাজারে করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা ৯২ জন। এরমধ্যে ৮৮ জন বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন। ৪ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। জেলায় এখন পর্যন্ত মোট পজিটিভ রোগীর সংখ্যা ২০৩৯ জন। মারা গেছেন ২৪ জন। গত এক সপ্তাহে ২ জন মারা গেছেন। বর্তমানে স্বাস্থ্যবিধি মানার পাশাপাশি ভ্যাকসিন নিতে জনগনকে আমরা উৎসাহ দিচ্ছি।
জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, স্বাস্থ্যবিধি আমরা গত কয়দিন ধরে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। আগামীকাল থেকে আমরা আরও কঠোর হব। সন্ধ্যা ৭টার পর সব দোকান পাঠ বন্ধ থাকবে। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হবে। আগামী ১৫ দিন সারা জেলায় মাইকিং করে ভ্যাকসিন নেওয়ার ব্যাপারে উৎসাহ দেওয়া হবে।
প্রতিটি হোটেল রিসোর্টের ৫০% বুকিং বাতিল করতে হবে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।